পৌরাণিক গল্প মানেই সেগুলো শুধুই গল্প, বাস্তব পৃথিবীতে সেই ঘটনা কখনোই ঘটে নি। এই গল্পগুলো বানানো হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সকল সংগ্ৰহের অন্ত হল বিনাশ, লৌকিক উন্নতির অন্ত হল পতন, সংযোগের অন্ত হলো বিয়োগ, জীবনের অন্ত হল মরন। যা বিয়োগ তা থেকে সুখ, কেমন করে পাওয়া যাবে, সুখ ও দুঃখ থাকার নয়, যাওয়া আসা এই ভবে। যার সংযোগ হয় তার বিয়োগও হয়, সংযোগ ভোগ একই কথা, সম্মান পেলে সন্তুষ্ট হন, অপমানে পান শুধু ব্যাথা । বেদমূর্তি শ্রীনারায়ণ ব্যাসরূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে চতুর্বেদ বিভাগ করেন। তারপর ব্যাসদেব ভাবলেন, যাঁরা যাগযজ্ঞ, পঠন পাঠনে যুক্ত থাকবেন, যাঁরা মেধাবি, নিষ্ঠাবান-তাঁরা বেদের অর্থ ধারণ করে মুক্তিলাভ করবে। কম মেধাসম্পন্ন বা বেদ পঠন পাঠনের সময় নাই বা বেদার্থ জ্ঞানলাভের উপযুক্ত না, তাহলে তাদের কি হবে? এসমস্ত ভেবে ব্যাসদেব বেদের তত্ত্ব সমূহকে গল্প, উপদেশ, কাহিনি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মহাভারত এবং পুরাণ রচনা করলেন, যাতে মহাভারত, পুরাণোক্ত তত্ত্বের উপলব্ধি করে কম বুদ্ধিসম্পন্ন মানব প্রমুখেরা মায়ামোহ অতিক্রম করে মুক্তিলাভ/ভক্তিলাভ করতে পারে।আর বুদ্ধিমান, যুক্তিবাদী, তাঁদের পরতত্ত্ব বোঝাবার জন্য ব্যাসদেব যুক্তিতর্কের অবতারণাপূর্বক রচনা করলেন ব্রহ্মসূত্র।এসকল গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে ব্যাসদেবের উদ্দেশ্য ছিল-- বিষয়ে নিবৃত্তি, ভগবানে আসক্তি এবং মুক্তিলাভ।মনুসংহিতা অর্থশাস্ত্রাদি গ্রন্থে পুরাণকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়েছে এবং বেদের সঙ্গে একাসনে বসানো হয়েছে। আধুনিক কালেও পুরাণের গুরুত্ব কমে নি।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners