নয় এ-বই চট্ জলদি পড়ে ফেলার, বিভিন্ন গণ্ডির মধ্যে মানুষ কি ক’রতে বাধ্য হয় এ-বইতে তা অনুভব করার। বইটি এক কথায় অনন্য, কোনো এক ধরণে ফেলা যায় না,- কাহিনী, দর্শন, সমাজতত্ত্ব, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান সব একাকার হ’য়েছে। কত রকম সীমারেখা মানুষের জীবনে,- ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, দেশি-বিদেশি, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাত-পাত, তারুণ্য-বার্ধক্য...। বইটির ঘটনা-সম্ভার অনবদ্য ও যথার্থই আন্তর্জাতিক। এই বিশাল ও বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে লেখা গ্রন্থটি লেখকের জ্ঞান, স্বতন্ত্র চিন্তা, মেধা সম্পর্কে সম্ভ্রম ও শ্রদ্ধার উদ্রেক ক’রবে পাঠকমনে।
প্রথম পরিচ্ছেদ পাঠকের প্রবেশের সিংহদরজা, সেখানে মেয়ে লুটে আনার গল্পে আছে কিছু তথাকথিত অশ্লীল দৃশ্য, এগুলির যৌন সংবেদন যেন পাঠককে বিভ্রান্ত না ক’রে; মানুষকে জিনিস হিসেবে দেখার দৃষ্টান্তগুলো থেকেই যাত্রা শুরু ক’রতে হবে নিঃসীম নির্বিবাহ জগতের সন্ধানে, যে জগতে ঈশ্বর বিদ্যমান প্রতিটি মানুষের মধ্যে, সমস্ত বিভেদ নির্বিবেশে।
কিরীটি আন্তরিকভাবে এই বইয়ের প্রতিটি মানুষের মধ্যে একাত্মাকে খুঁজেছে। তারা সবাই খুব সাধারণ নারী এবং পুরুষ; তাদের কেউ এই পৃথিবীটাকে একটুও বদলাতে চায় নি। তারা সবাই বসবাস ক’রেছে বিশ্বের আইনকানুন মেনে, দেশের সুযোগ এবং বিপদ-আশঙ্কার দিকে চোখ রেখে। তারা সবাই চেয়েছিল কেউ তাদের ভালোবাসুক; অন্ততঃ কয়েকজনের ভালোবাসা না পেলে সাধারণ জগতে মানুষ বাঁচতে পারে না; প্রেম ছাড়া বাঁচার কোন অর্থ থাকে না। আবার অন্য কোনো জগতে প্রেম একেবারে অপরিহার্য নয়, জীবনে আরও অনেক প্রলোভন আছে দুর্লভ ভালোবাসার পরিবর্তে। মানুষের জন্ম ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে, দেওয়ার জন্যে, আর জিনিষের সৃষ্টি ব্যবহার করার জন্যে; কিন্তু প্রায়শঃই মানুষ জিনিসকে ভালোবাসে এবং মানুষকে ব্যবহার ক’রে। আসুন জীবন দেখি কিরীটির চোখ দিয়ে।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners