অবাধ প্রেমের অনায়াস দিগ্বিজয়,
তবু অবাঞ্ছিত সন্তানের জন্ম নয়;
স্বামী-স্ত্রী ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী নয়; হোক পরাধীনতার অন্ত।
বেঁচে থাক নিরন্তর বসন্ত,
শুধু আজ নয়, কালও, কাল অনন্ত;
শুধু হেথা নয়, সর্ব্বথা – জুড়ে দিক-দিগন্ত;
শুধু আমি নয়, নয় শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা, শান্ত-অশান্ত, দুরন্ত;
নয় শুধু হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ বা খ্রীষ্টান, ধনবান্ বা সর্ব্বস্বান্ত;
নেই জরা, পাতা-ঝরা, শিশু-যুবা-বুড়োরা সব হতচ্ছাড়া – অক্লান্ত।
গ্রীষ্ম না রবে ভয়ঙ্কর দুর্দান্ত,
না উঠিবে জ্বলে, ঘোর দাবানলে বিশ্বের চারি প্রান্ত;
গ্রীষ্মের উত্তাপে, জল হবে পরিণত বাস্পে, চালাবে ইঞ্জিন অবিশ্রান্ত;
উত্তাপ পরাজিত, বিদ্যুৎশক্তিতে রূপায়িত, ব্যাটারীতে সঞ্চিত, শক্তিমন্ত;
সোলার প্যানেলে সারাদিন, তাপ হবে বিদ্যুতে বিলীন; হবেনা প্রাণান্ত।
গ্রীষ্মের দাবদাহে, যন্ত্রণা না রহে, ফসলভরা চাষীগৃহে; নিরন্তর বসন্ত।
বর্ষার বন্যায় হবে না দেশ ভাসন্ত,
প্লাবনে হবে না ফসলের অন্ত, জলে ডুবে প্রাণান্ত;
রুখিবো নদীর জল বাঁধ বেঁধে; শুষ্ক গ্রীষ্মে হবে তৃষ্ণার অন্ত।
জলের স্রোতে টারবাইন ঘুরন্ত; ব্যাটারীতে বিদ্যুতের সঞ্চয় প্রাণবন্ত।
বিজ্ঞানীদের পর্য্যবেক্ষণ, জলবায়ু ভবিষ্য-দর্শন ক’রবে সংশয়ের অন্ত;
বাঁধবো বাঁধ কোথায়, টারবাইন-প্যানেল কোথায়, হ’তে হবে অভ্রান্ত।
যবে প্রকৃতির বর্ষা-গ্রীষ্ম পৃথ্বীবাসীকে ক’রবে না নিঃস্ব, বিজ্ঞানীরা সেইদিন হবে শান্ত।
যা কিছু প্রকৃতির দান, আকাশ, আলোক, তনু, মন, প্রাণ দেবে পৃথিবীর প্রেমে বসন্ত।
নরনারীর সারাজীবন বসন্ত, নির্বিবাহ প্রেম নির্ভয় অফুরন্ত; পরিকল্পনামতো আইভিএফে সন্তান জীবন্ত।
গ্রীষ্ম না রবে ভয়ঙ্কর দুর্দান্ত, বর্ষার বন্যায় হবে না দেশ ভাসন্ত, বছরের পর বছর ধ’রে নিরন্তর বসন্ত।।