ভগবদ্গীতা হল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণ ও অর্জুনের মধ্যে একটি কথোপকথন, যেখানে দুই চাচাতো ভাই কৌরব এবং পাণ্ডবদের মধ্যে একটি মহান যুদ্ধ সংঘটিত হতে চলেছে। অর্জুন তার নিজের আত্মীয় এবং বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন এবং কৃষ্ণের কাছে পরামর্শ চেয়েছিলেন।
ভগবদ্গীতার এই বক্তৃতার মাধ্যমে কৃষ্ণ অর্জুনকে যুদ্ধ ও রক্তপাতের জন্য প্ররোচিত করতে চাননি। কৃষ্ণ অর্জুনকে একজন যোদ্ধা হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করতে এবং ধর্ম বা ধার্মিকতার নীতি বজায় রাখার জন্য গাইড করতে চেয়েছিলেন। অতএব, ভগবদ্গীতা যুদ্ধ এবং রক্তপাতের প্ররোচনাকারী নয়, বরং একটি আধ্যাত্মিক বক্তৃতা যা আমাদেরকে বাঁচতে এবং মরার শিল্প শেখায়।
শ্রী কৃষ্ণ সম্ভবত অনেক কারণে অর্জুনকে গীতা বর্ণনা করেছিলেন, কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল যে কৃষ্ণ অর্জুনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে গীতার সর্বোচ্চ বিজ্ঞান প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন, যারা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আদর্শ এবং শিক্ষক হিসাবে কাজ করবে।