"তাও তে চিং" সম্পর্কে কিছুই বলা সম্ভব নয় বা এমনটা বলা যেতে পারে তাও তে চিং সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন তা সম্পূর্ন করা সম্ভব নয়। তাও তে চিং এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা না করাই ভালো, যদি আমরা ঐ সমস্ত শুকনো কথাতে হারিয়ে যায় তাহলে লাও সু প্রচারিত অমৃতের স্বাদ থেকে আমরা বঞ্চিত থাকবো। তাও তে চিং এর প্রত্যেকটি শব্দ অত্যন্ত গভীর, অতলস্পর্শী এবং বড়ই বিচিত্র।
এর মূল তত্ত্ব সম্পূর্ণ মাত্রায় অহমিকা শূন্য। এক্ষেত্রে "অহমিকা শূন্য" কথাটির তাৎপর্য আমাদের বুঝতে হবে, আমাদের সকল দ্বৈতভাবে মূল অহমিকা তত্ত্ব, অহমিকা তত্ত্বের নাশ ব্যতীত 'তাও' এর অদ্বৈততায় অহংকার ভাসানো সম্ভব নয়। কিন্তু মজার ব্যাপার এইটাই এখানে আপনি যা পড়ছেন বা আমি যা লিখছি প্রত্যেকটির মধ্যেই সুপ্ত বা জাগ্রত অবস্থায় অহং ভাব বিদ্যমান। তাহলে কি এই ভাব নিয়ে "তাও তে চিং" এর অমৃত রসের স্বাদ পাওয়া সম্ভব নয়? এক্ষেত্রে দুঃখের সাথে বলছি, না। অন্ধকারকে যেমন আলো জ্বেলে দেখা যায় না আলো জেলার সাথে সাথেই যেমন অন্ধকার বিলুপ্ত হয় ঠিক তেমনভাবে দ্বৈত জ্ঞান নিয়ে তাও এর রহস্য উপলব্ধি করা সম্ভব নয় এমনটা বলা যেতে পারে সম্পূর্ণ অধ্যায় স্থিতপ্রজ্ঞ হলে তবেই 'তাও'এর রহস্য উদ্ভাসিত হয় তার আগে নয়। 'তাও তে চিং' পড়বার সবচেয়ে উত্তম মার্গ শব্দ ছাড়া পড়বার, যদি আপনি তাও তে চিং কে শব্দের গণ্ডির বাইরে গিয়ে উপলব্ধি করতে পারেন তখন 'তাও' রহস্য আপনার কাছে একটু একটু করে উন্মোচিত হওয়া শুরু হবে।
Delete your review
Your review will be permanently removed from this book.