মহাভারত হলো ইচ্ছার গর্ভ থেকে উৎসারিত হওয়া জ্ঞানের , এই মহাকাব্য হলো জীবনের মর্ম শিক্ষার, মনুষ্যত্বের ধর্ম শিক্ষার, পাঁক থেকে উঠে এসে পদ্ম হয়ে ওঠার শিক্ষার ,যা জীবন দর্শন সম্পর্কে, মানুষের সম্পর্কে, যুদ্ধ সম্পর্কে এমনকি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সন্ধানের সম্ভবনার দিক নির্দেশ করে এবং যা আজও প্রাসঙ্গিক । এখানেও লুকিয়ে রয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাস, যা বিস্ময়কর ভাবে জ্ঞান, বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ধর্ম ইত্যাদির ক্ষেত্রে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারে । ইচ্ছা ,আশা, প্রত্যাশা ,আকাঙ্ক্ষা এ সবই তো মানব সমাজের চালিকা শক্তি। নিজের ইচ্ছাই নিজের জীবনের ব্যাখ্যা। মহাভারত আমাদের শেখায় যে কর্ম কি এবং কোনটা শুভকর্ম ও কোনটা মন্দকর্ম অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যেমন ধর্ম; সত্য প্রকাশ করাও তেমনি ধর্ম। সত্য চেপে যাওয়া এবং অন্তরে বৈষম্য পোষণ করা কোন ধর্ম নয়। বংশীয় বর্ণবাদ যারা ধর্মের নামে ধরে রাখে এবং রেখেছে, তারা অধার্মিক ও পাপী। সমাজের স্বার্থেই তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করা উচিত। এখানে প্রতিটি গল্পই জ্ঞানের উৎস এবং মানুষের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন করে শেখার ব্যবস্থাপনা । মহাভারতের প্রতিটা চরিত্রই শিক্ষণীয় । একটি জমির জন্য একটি পরিবারের মধ্যে লড়াই হোক বা একটি ' অবৈধ ' সন্তানের বিষয় একটি পরিবার এবং সমাজের উপর তার প্রভাব এই অসাধারণ মহাকাব্যে বেশ সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে.। দুর্ভাগ্যবশত আজও ভারতীয় সমাজ এই মহান মহাকাব্য যে জীবনে জ্ঞানের মুক্তো দেয়, তা বুঝতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে । দুর্ভাগ্যবশত ,একটি সমাজ হিসেবে এখনো একটি সমঝোতার যথার্থ মূল্য বুঝতে ব্যর্থ , যে কারণে নিজেদের ক্ষুদ্র অহংকার এবং লোভ নিজেদের যুক্তির পথে আসে এবং এর ফলে নিজেরা যথাযথ সমাধান পাওয়ার জন্য আপস করতে রাজি হন না ।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners