নিঃসীম নির্বিবাহ জীবনের স্বপ্নে
মানব জীবনের পরম সত্য – অদ্বিতীয়ত্ব । আমি গোটা জগতের নাগরিক হ’তে চাই, চাই সকলের আপন একটি জগৎ গড়ে তুলতে – যে জগৎ একটি পরিবার, একটি প্রতিষ্ঠান।
এই বইটির কবিতা আর কাহনীগুলি ১৯৫০এর কুসংস্কারের ঐতিহ্য ফেলে যুগোপযোগী ২০৫০ সালের জীবনধারার জন্য ডাক দিয়েছে। আমার লেখা ‘No Boundaries’ by P G Cartwright বইটিও পড়তে অনুরোধ ক’রবো।
নিঃসীম আকাশের নীচে সীমান্তবিহীন এই জগতের মানুষ যে কোনো দেশে বসবাস ক’রতে পারবে, জীবিকা নির্বাহ ক’রতে পারবে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে না।
সীমান্তবিহীন জগতের স্বপ্নের বীজ এসেছে আমার দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতা থেকে। ভারতবর্ষের গরীব সদগোপ (চাষার জাত) ঘরে জন্মে ইঞ্জিনীয়ার হ’য়েছি, পারদর্শী প্রোগ্রামার হ’য়ে এসেছি অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৪ সালে, দেখেছি অনুন্নত ও সমুন্নত দেশের জীবনযাত্রার তফাৎ। পরে ২০০২ থেকে শুরু হ’য়েছে, এক আমেরিকান কোম্পানীর কর্ম্মচারী হ’য়ে, দেশ-বিদেশের বড় বড় ব্যাঙ্কে কোর ব্যাঙ্কিং সুরু করার কাজ। ২০০২এর জানুয়ারীতে প্রথম কাজটি ছিল পোল্যাণ্ডের ওয়ারশ-তে, অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আমার পোল্যাণ্ডে কাজ করার জন্য ভিসা নিতে হ’ল, অথচ আমার সহকর্মী আমেরিকান নাগরিকের ভিসার প্রয়োজন হ’লো না। অথচ পোল্যাণ্ডের নাগরিকের ভিসা লাগতো আমেরিকায় গিয়ে কাজ করার জন্যে, পোল্যাণ্ড আর আমেরিকার মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা নেই ভিসার সমান অধিকারের ব্যাপারে ।পরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে যাওয়া-আসার জন্য ভিসার দরকার রইলো না। শুরু হ’লো আমার স্বপ্নের - কবে হবে পুরো পৃথিবীর দেশগুলির মধ্যে এই ধরণের সমঝোতা।