রামায়ণ ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্য এর একটি । এই কাব্যে বিভিন্ন সম্পর্কের পারস্পরিক কর্তব্য বর্ণনার পাশাপাশি আদর্শ ভৃত্য, আদর্শ ভ্রাতা, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ রাজার চরিত্র চিত্রণের মাধ্যমে মানবসমাজের আদর্শ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রামায়ণও একটি কাহিনিমাত্র নয়, এটি হিন্দু ঋষিদের শিক্ষা,দার্শনিক ও ভক্তি উপাদান সহ আখ্যানমূলক উপমার মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে এই মহাকাব্যে। ভারতের সংস্কৃতি চেতনার মৌলিক উপাদানগুলিই প্রতিফলিত হয়েছে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, হনুমান ও রাবণ চরিত্রগুলির মধ্যে। তবে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও রামায়ণকে প্রাচীনতর গ্রন্থ মনে করা হয়। রাম-সংক্রান্ত পৌরাণিক উপাখ্যানের প্রধান উৎস ঋষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণ মহাকাব্য। এছাড়া বিষ্ণু পুরাণ-এ বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের উল্লেখ আছে। ভাগবত পুরাণ-এর নবম স্কন্ধের দশম ও একাদশ অধ্যায়ের রামের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া মহাভারত-এও রামের উপাখ্যান উল্লিখিত হয়েছে। ১.ধৃতি , ২.ক্ষমা, ৩.দম , ৪.অস্তেয় (অনৈতিক বিষয় তথা ছল, কপটতা, বিশ্বাস ঘাতকতা ইত্যাদি হতে বিরত থাকা), ৫.শুচিতা (শারীরিক ও মানসিক ভাবে সব সময় পবিত্র তথা পরিষ্কার থাকা), ৬.ইন্দ্রিয় নিগ্রহ (শরীরের ইন্দ্রিয়সমূহকে লোভ্য বস্তু থেকে বিরত রাখা), ৭.ধী(মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য বুদ্ধি নাশক পদার্থ, কুসংসর্গ, আলস্য ও প্রমাদ ইত্যাদি ত্যাগ করে বুদ্ধির উন্নতি সাধন), ৮.বিদ্যা(সকল বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান অর্জন করা), ৯.সততা(যে পদার্থ যেরূপ তাকে সেইরূপ মনে করা, সেইরূপ বলা এবং সেইরূপ করা), ১০.অক্রোধ (রাগ বা ক্রোধ পরিত্যাগ করে শান্তি প্রভৃতি গুণ গ্রহণ)। এই দশটি হচ্ছে ধর্মের লক্ষণ।রামায়ণ কাব্যের অন্তরালে উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্য গুলিই প্রকাশিত করার প্রয়াস করা হয়েছে বিভিন্ন ঘটনা ও উপঘটনার মাধ্যমে।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners