কম্যুনিস্ট দুনিয়া মানেই চার দেয়ালের ঘেরাটোপে শাসকের রক্তচক্ষু আর ‘গরিবী হটাও’ এই ধারণা নিয়ে যদি কেউ ভিয়েতনামে যান, তবে হতাশ হবেন। কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে দেশটার ওপর দিয়ে অনেক ঝড়ঝাপটা গেছে, - হাজার বছরের ওপর চীন সাম্রাজ্য, তারপর ফরাসী কলোনীর পত্তন এবং একশ বছরের পরাধীনতা, দিয়েন বুয়েন ফু-র মুক্তিযুদ্ধ। তাতেও শেষ নয়। এই তো কয়েক দশক আগেই আমেরিকান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গেরিলা সংগ্রাম – অনেক প্রাণই বলিদান গেছে ভিয়েতনামের ইতিহাসে। রক্তস্নান কিন্তু বৃথা যায়নি। ইতিহাসের কষ্টিপাথরে দেশের লোক যাচাই করতে শিখেছে নকল আর আসল সোনা। হ্যানয়ের ঘরে ঘরে হো-চি-মিন্ তাই আজও সবার কাছে ‘আঙ্কল হো’। তা বলে বিদেশী বলে ভিয়েতনাম কাউকে অবজ্ঞা করেনা। বরং বিদেশীদের হাতে হাত মিলিয়ে দেশটা এগিয়ে চলেছে।
উত্তরে ‘সাপা’ থেকে দক্ষিণে ‘হো-চি-মিন্ সিটি’, ভিয়েতনামের সেই ছবিটাই বইএর পাতায় পাতায় লেখক তুলে ধরেছেন। দেশটা যে শুধু ইতিহাসের মূল্যবোধ নিয়েই পড়ে থাকেনি, বরং সেই শিক্ষার আলোয় সবাইকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে, সেই বার্তাটাই বার বার লেখকের কলমে উঠে এসেছে। মানুষের সাথে লেখক তার সাবলীল বন্ধুত্বে যে ভালবাসা অর্জন করেছেন, তার প্রতিফলন বইএর পাতায় পাতায়। তার সাথে আছে ভিয়েতনামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অসাধারণ বর্ণনা।
‘ভিয়েতনাম থেকে বলছি’ কোন গতানুগতিক ভ্রমণ কাহিনী নয়। এ বই সবাইকে নিয়ে যাবে এক নতুন দেশে যেখানে ইতিহাস মানুষকে বহু জন্মে প্রেরণা যুগিয়েছে নিঃস্বার্থ ভালবাসার, কিন্তু যে দেশ অঙ্গিকার বদ্ধ – প্রয়োজনে হাতে রাইফেল তুলে শপথ নিয়ে বলবে – ‘আমার নাম, তোমার নাম ভিয়েতনাম’।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners