জীবনের বেশিরভাগ সময়টা অতিবাহিত করার পর নিজের মধ্যে যে সব পরিবর্তন অনুভূত হয় এবং যে সব ধারণা পরিবর্তিত হয়ে নিজের অজান্তেই নুতন ধারণার সৃষ্টি হয় তারই বহিঃপ্রকাশ এই লেখনী। এটি খুবই একজন সাধারণ মানুষের নিজের মধ্যেই নিজের পরিবর্তনের কথা ,তার আন্তরিক মননের কথা এবং তার অন্তর্নিহিত বিশ্বাসের কথা যা বাহিরজগতে সবসময় প্রকাশ করা সম্ভব হয়না। সে অর্থে আমার কিছু নেই যা জানিয়ে পাঠকের সম্মুখে দাঁড়ানো যায়। পিছে ভয়, হাস্যষ্কর না হয়ে যাই। তবে হ্যাঁ, লিখি এবং তা শরীরস্থ এক অন্ধ আবেগে তাড়িত হয়ে কিছু কথা মালা কাগজের পাতায় গুঞ্জরিত হয়, এ কথা সত্য। সেগুলো মানসম্মত হয় কিনা বা সেগুলো, কাউকে নাড়া দেয় কিনা, জানি না। এক সময় ঘুমের ঘোরে, পথ চলতে-চলতে, হঠাৎ চলন্ত বাসে, রিকশায়, সকালে হাঁটার সময় লেখার জন্ম হয়। এটা একান্তই ব্যক্তিকেন্দ্রিক কথা। যদি সেই ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভূতি একপর্যায়ে ব্যক্তি থেকে বেষ্টিতে ছড়িয়ে পড়ে তখনই নিজের কথা নিজের ব্যাথা অন্যের কথা, অন্যের ব্যথা বা অন্যের বক্তব্য হয়ে যায়। মনে হয় একটু চেষ্টা করলেই এ বিষয়ে অনেক কিছু বলতে পারবো। কিন্তু লিখতে বসলেই কথা হারিয়ে যায়। কেন যে লিখি, কেন যে লেখা আমাকে টেনে নিয়ে তার কাছে বসায়! মাঝে মাঝে মনে হয় অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক অনেক কিছু। বুকের ভেতরে হাজারটা লেখার উপাদান গজগজ করে। নানান শব্দ, নানান বাক্যের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় ভেতরে। আমি একজন মনোযোগী পাঠকের জন্য অপেক্ষায় আছি। যার হাতে আর কোন বই নেই। যার কাছে কেবল একটিই বই, অন্য কোন বই বা গল্প জমা নেই , আমিই তার গল্পের বই; আমিই তার গল্প। এমন কোন এক মনোযোগী পাঠক হয়তো ঠিকই অনাগ্রহ নিয়ে পড়তে পড়তে পুরো বইটা শেষ করে উঠবে। আর সবশেষে তার চোখ থেকে উপচে পড়তে থাকবে তুমুল বিস্ময়।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners